জাতীয় পার্টি হঠাৎ গজিয়ে ওঠা দল নয়, বরং দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস ও অভিজ্ঞতার বহুমাত্রিক ধারক-বাহক—এ মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দলীয় নেতাদের। তাদের মতে, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরে দেশে নব্য রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থান গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক হলেও, অনভিজ্ঞ নেতৃত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বড়াই করা উদ্বেগের বিষয়।
সম্প্রতি বিভিন্ন নতুন রাজনৈতিক দল সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রকাশ্যে ‘খবরদারি’ করার মতো বক্তব্য দিচ্ছে, যা রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই। শুধু জনপ্রিয় স্লোগান বা হঠাৎ আবির্ভাব দিয়ে দেশ পরিচালনার বাস্তবতা বোঝা যায় না।
তারা আরও জানান, জাতীয় পার্টি মাঠে-ময়দানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে, জনগণের আস্থা ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে নব্য দলগুলোর অনেক নেতারই অতীতে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই, তবুও তারা রাষ্ট্র পরিচালনার মতো বড় ভার নিতে চাওয়াকে রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরিণত সাহসিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গণতন্ত্রে সকল দলের অংশগ্রহণ স্বাগত; তবে বড় দায়িত্ব নেওয়ার আগে দলগুলোর প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা, আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস এবং রাজনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ।